কর্তার ভূত প্রশ্ন উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : কর্তার ভূত গল্প একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/| Class 11 Bengali kortar bhoot golpo question answer , কর্তার ভূত গল্প বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE Class 11th Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes | একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কর্তার ভূত গল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th XI Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন কর্তার ভূত [গল্প] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরএকাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Bengali Question and Answer , kortar bhoot golpo question answer , গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
একাদশ শ্রেণির বাংলা কর্তার ভূত গল্প প্রশ্ন ও উত্তর | kortar bhoot golpo question answer
কর্তার ভূত MCQ প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা কর্তার ভূত গল্প MCQ প্রশ্ন উত্তর
1. শিরোমণি চূড়ামনি দলের মতে ভূতগ্রস্থ দেশে পবিত্র হল –
[A] হুঁশিয়ার বা সাবধানী মানুষ
[B] বেহুঁশ বা অজ্ঞ
[C] ভূতগ্রস্থ মানুষ
[D] আধুনিক যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল মানুষ
উত্তর:- [B] বেহুঁশ বা অজ্ঞ
2. “প্রবুদ্ধমিব সুপ্তঃ “কথাটির অর্থ হল –
[A] প্রকৃষ্ট জ্ঞানীদের মতো জেগে থাক
[B] প্রকৃষ্ট জ্ঞানীদেরমতো ঘুমিয়ে থাক
[C] প্রকৃষ্ট জ্ঞানীদের মতো তর্কবাগিশ হয়ে থাক
[D] প্রকৃষ্ট জ্ঞানীদের মতো শুধু দুপুরে ঘুমিয়ে থাক
উত্তর:- [B] প্রকৃষ্ট জ্ঞানীদেরমতো ঘুমিয়ে থাক
3. “প্রশ্ন মাত্রেই দোষ এই যে ” –
[A] বুড়ো কর্তার মানুষের গায়ে ভূত হয়ে চেপে থাকা
[B] বুড়ো কর্তার অত্যাচারে শান্তি বিঘ্নিত হওয়া
[C] ভূতের নায়েবের কঠোর নজরদারিতে মানুষের জীবন বিঘ্নিত হওয়া
[D] যখন আসে একা আসে না
উত্তর:- [D] যখন আসে একা আসে না
4. “যেমন করে পারি ভূত ছাড়াব” – কার উক্তি?
[A] ওঝা
[B] তত্বজ্ঞ্যানী
[C] অর্বাচীন
[D] মাসিপিসি
উত্তর:- [C] অর্বাচীন
5. ” বুলবুলির ঝাঁক কে কৃষ্ণ নাম শোনাব ” – কে শোনাবে?
[A] ভূতের নায়েব
[B] শিরোমণি চূরামনি
[C] তত্বজ্ঞ্যানী
[D] মাসিপিসি
উত্তর:- [D] মাসিপিসি
6. ” সেখানেই তো ভূত ” – ‘ সেখানে’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
[A] শশ্মানের কথা
[B] মশানের কথা
[C] পোড়োবাড়ির কথা
[D] ভয়ের কথা
উত্তর:- [D] ভয়ের কথা
7. “ একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা । ” কোনটি অদৃষ্টের উত্তর চোখ বুজে চলা , আদিম চলা চালে চলা ?
[A] চোখ বুজে চলা , আদিম চলা
[B] নিয়ম মতো চলা
[C] দেখে চলা
[D] প্রাচীন চলা
উত্তর:- [A] চোখ বুজে চলা , আদিম চলা
8. “ বেহুঁশ যারা তারাই পবিত্র , হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি । ” একথা বলে—
[A] বর্গির দল
[B] শিরোমণি – চূড়ামণির দল
[C] সনাতন পন্থীরা
[D] নব্যবাদীরা
উত্তর:- [B] শিরোমণি – চূড়ামণির দল
9. “ বুলবুলির ঝাককে কৃথ্বনাম শোনাব , আর বর্গির দলকেও । ” কে একথা বলেছে ?
[A] কর্তা
[B] মামাতো – পিসতুতো ভূতের নায়েব
[C] মাসি – পিসি
[D] ভূতের নায়েব
উত্তর:- [C] মাসি – পিসি
10. “ চুপ , এখনো ঘানি অচল হয়নি । ” বক্তা—
[A] মাসি – পিসি
[B] বুড়ো কর্তা
[C] বর্গি
[D] ভূতের নায়েব
উত্তর:- [D] ভূতের নায়েব
11. “ যেমন করে পারি ভূত ছাড়াব । ” কথাগুলি বলেছে-
[A] অর্বাচীনরা
[B] শিরোমণি – চূড়ামণি
[C] ভূতের নায়েব
[D] কেউই নয়
উত্তর:- [A] অর্বাচীনরা
12. “ দেশটাকে সে নাড়েও না , অথচ ছাড়েও না । ” কে এমনটা করছে—
[A] বুড়ো কর্তা
[B] মাসি – পিসি
[C] ভূতের নায়েব
[D] কেউই নয়
উত্তর:- [A] বুড়ো কর্তা
13. আদিম চালে বা অদৃষ্টের চালে প্রথম চলত–
[A] তত্ত্বজ্ঞানীরা
[B] কীটাণুরা
[C] শিরোমণি – চূড়ামণিরা
[D] বর্গিরা
উত্তর:- [B] কীটাণুরা
14. অন্য সব দেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলেই মানুষ অস্থির হয়ে খোঁজ করে—
[A] দারোগার
[B] ওঝার
[C] নায়েবের
[D] ভগবানের
উত্তর:- [B] ওঝার
15. “ খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো ” গানটি গাওয়া হয়
[A] ভুতুরে জেলখানায়
[B] সমগ্র দেশ জুড়ে
[C] ভূতের রাজ্যজুড়ে
[D] পাড়ায় পাড়ায়
উত্তর:- [C] ভূতের রাজ্যজুড়ে
16. আগে ভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে –
[A] ওঝাকে
[B] দারোগাকে
[C] মাসি – পিসিদের
[D] নায়েবকে
উত্তর:- [A] ওঝাকে
17. “ কেবল অতি সামান্য কারণে একটা মুশকিল বাধল । ” কারণটি হলো—
[A] পৃথিবীর সকল দেশেই অত্যন্ত ভূতের উপদ্রব
[B] পৃথিবীর কোনো দেশেই ভূতের অস্তিত্ব নেই ।
[C] পৃথিবীর অন্য দেশগুলিকে ভূতে পায়নি ।
[D] পৃথিবীর কোনো দেশেই উপযুক্ত ওঝা পাওয়া গেল না
উত্তর:- [C] পৃথিবীর অন্য দেশগুলিকে ভূতে পায়নি ।
18. “ ভূতের জন্যে কারও মাথাব্যথাও নেই । ” এর কারণ
[A] ভূতের জ্ঞানবুদ্ধি নেই
[B] ভূতের মাথা নেই
[C] ভূতের বল নেই
[D] ভূতের মা – বাবা নেই
উত্তর:- [B] ভূতের মাথা নেই
19. “ এই চোখ বুজে চলাটাই হচ্ছে জগতের সবচেয়ে আদিম চলা । ” একথা বলেছে—
[A] শিরোমণি – চূড়ামণি দল
[B] মাসি – পিসিরা
[C] দারোগা
[D] দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা
উত্তর:- [D] দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা
20. “একে বলে অদৃষ্টর চালে চলা “- কাকে বলে?
[A] চোখ বুজে চলাকে
[B] যুক্তিবাদী ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে চলাকে
[C] ভূতগ্রস্থ হয়ে চলাকে
[D] তত্বজ্ঞ্যানীদের প্রদর্শিত পথে চলাকে
উত্তর:- [A] চোখ বুজে চলাকে
21. “দেশের লোক ভারী নিশ্চিত হলেন”- কেন?
[A] ভূতকে মানলে কোনো ভাবনাই নেই
[B] বুড়ো কর্তা বেঁচে গেলেন
[C] তারা অভিভাবক হীন রইল না
[D] ভূতের রাজত্বে সবাই সুখী
উত্তর:- [A] ভূতকে মানলে কোনো ভাবনাই নেই
22. তবু স্বভাব দোষে যারা ভাবতে যায় তাদের পেতে হয়-
[A] ভূতের প্রশংসা
[B] অভ্যর্থনা
[C] ভূতের কান মলা
[D] কোনোটিই নয়
উত্তর:- [C] ভূতের কান মলা
23. জগৎ – এর সবচেয়ে আদিম চলার রীতিটি হল –
[A] যুক্তিবাদী ভাবনা নিয়ে চলাকে
[B] ভূতগ্রস্থ হয়ে চলাকে
[C] তত্বজ্ঞ্যানীদের প্রদর্শিত পথে চলাকে
[D] চোখ বুজে চলাকে
উত্তর:- [D] চোখ বুজে চলাকে
24. “একে বলে অদৃষ্টর চালে চলা “- কাকে বলে?
[A] চোখ বুজে চলাকে
[B] যুক্তিবাদী ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে চলাকে
[C] ভূতগ্রস্থ হয়ে চলাকে
[D] তত্বজ্ঞ্যানীদের প্রদর্শিত পথে চলাকে
উত্তর:- [A] চোখ বুজে চলাকে
25. জগতের সবচেয়ে আদিম চলার রীতি প্রথম দেখা যায় –
[A] প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মধ্যে
[B] চক্ষুহীন কীটানুদের মধ্যে
[C] ধার্মিক ব্যাক্তিদের মধ্যে
[D] ওঝাদের মধ্যে
উত্তর:- [B] চক্ষুহীন কীটানুদের মধ্যে
26. ভুতুরে জেলখানার দারোগা হলেন –
[A] ভূতের নায়েব
[B] তত্বজ্ঞ্যানী
[C] অর্বাচীন
[D] মাসিপিসি
উত্তর:- [A] ভূতের নায়েব
27. ভূতের জেলখানার ঘানি থেকে নির্গত হয় –
[A] শিতল জল
[B] তেল
[C] মানুষের তেজ
[D] মানুষের ঘর্ম
উত্তর:- [C] মানুষের তেজ
28. পৃথিবীর অন্য সব দেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলে মানুষ অস্থির হয়ে খোঁজ করে –
[A] চিকিৎসককে
[B] কবিরাজকে
[C] ওঝা-কে
[D] মাসি পিসিকে
উত্তর:- [C] ওঝা-কে
29. ” এটা ভূতের দোষ নয়, ভূতুরে দেশরও দোষ নয়, একমাত্র বর্গিরই দোষ ” – কাদের উক্তি?
[A] বুড়ো কর্তা
[B] শিরোমণি চূরামণি
[C] ভূতের নায়েব
[D] শিরোমণি চূরামণি
উত্তর:- [D] শিরোমণি চূরামণি
30. “একমাত্র বর্গিরই দোষ” – এখানে যে দোষের কথা বোঝানো হয়েছে, সেটি হলো –
[A] বর্গি আসে কেনো
[B] মানুষ ভূতগ্রস্থ হয় কেন
[C] খাজনা দেব কিসে
[D] ভূতের শাসনটাই কি অনন্তকাল চলবে
উত্তর:- [A] বর্গি আসে কেনো
31. ” গেরস্তের খিড়কির আনাচে কানাচে ঘোরে ” –
[A] অভূতের পেয়াদা
[B] ভূতের পেয়াদা
[C] মাসি পিসি
[D] শিরোমণি চূড়ামণি
উত্তর:- [B] ভূতের পেয়াদা
32. “অভূতের পেয়াদা ঘোরে ” –
[A] হাটে
[B] শহরে
[C] সদরের রাস্তায় – ঘাটে
[D] গেরস্তের উঠানে
উত্তর:- [C] সদরের রাস্তায় – ঘাটে
33. ” একদিক থেকে এ হাঁকে খাজনা দাও আর একদিক থেকেও হাঁকে খাজনা দাও “, ‘এ ‘ এবং ‘ও’ বলতে বোঝনো হয়েছে –
[A] ভূতের নায়েব ও মাসি পিসি
[B] ভূতের পেয়াদা ও অভূতের পেয়াদা
[C] ভূতের নায়েব ও তত্বজ্ঞ্যানী
[D] শিরোমণি চূড়ামনি ও মাসি পিসি
উত্তর:- [B] ভূতের পেয়াদা ও অভূতের পেয়াদা
কর্তার ভূত SAQ প্রশ্ন উত্তর একাদশ শ্রেণির বাংলা – কর্তার ভূত গল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর SAQ প্রশ্ন উত্তর
1. মরণকালে বুড়ো কর্তার দুঃখ হলো কেন ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ কর্তার ভূত ‘ গল্পে বুড়ো কর্তার মরার সময় হয়েছে । দেশের সবাই বুড়োকে জানাল যে , বুড়ো মারা গেলে তাদের কী দশা হবে । এ কথা শুনেই বুড়ো কর্তার বড়ো দুঃখ হলো
2. “ হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি ” – এ কথা কেন বলেছেন ?
উত্তর:- ভূতগ্রস্ত অলস মানুষ যাতে সচেতন প্রাজ্ঞ মানুষের কাছে না আসে তাই একথা বলা হয়েছে ।
3. রবীন্দ্রনাথ ‘ সনাতন ঘুম ‘ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংস্কার মানতেন না । ‘ নৈবেদ্য ‘ কাব্যে অন্ধ সংস্কারকে তিনি মরুর ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন । কেননা , সংস্কার প্রতিনিয়ত জায়গা বদল করে । ‘ কর্তার ভূত ’ গল্পে ‘ সনাতন ঘুম ’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবর্তনহীন , অন্ধ সংস্কারের ঘুমকে চিহ্নিত করেছেন ।
4. ” কর্তার ভূত “-গল্পে ভূত বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- “কর্তার ভূত”- গল্পে ‘ভূত’ বলতে কোনো অশরীরী আত্মাকে বোঝানো হয়নি। পুরনো জরাজীর্ণ কুসঙস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতাকে ভূত বলা হয়েছে।
5 . ”ভূতের কানমলা”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- কর্তার ভূত গল্পে ভুতের কানমলা বলতে প্রাচীন পন্থীদের কাছ থেকে আসা নানান অপমান ,অবমাননা ও দৈহিক শাস্তিকে বোঝানো হয়েছে।
6. ” ভয় করে যে কর্তা “- কারা কখন এ প্রশ্ন করে।
উত্তর:- দেশের মধ্যে দুই একটা মানুষ যারা গভীর রাত্রে এ কথা বলে বুড়ো কর্তাকে।
7. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সনাতন ঘুম বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর:- ‘কর্তার ভূত’ রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘সনাতন ঘুম’ বলতে পরিবর্তনহীন অন্ধ সংস্কারকে চিহ্নিত করেছেন।
8. ”মোদ্দা কথাটা হচ্ছে”- মোদ্দা কথাটা কী?
উত্তর:- কর্তার ভূত গল্পে ‘মোদ্দা কথা’ বলতে বুড়ো কর্তার অবস্থান ও কৃতকর্মকে নিয়ে অর্থাৎ বুড়ো কর্তা বেঁচেও নেই মরেও নেই ,ভুত হয়ে আছে।
9. ভূতের জেলখানার ঘানি থেকে কী বের হয় ?
উত্তর:- ভূতের জেলখানার ঘানি নিরন্তর ঘুরে ।সেখান থেকে একফোঁটাও তেল বের হয় না । কিন্তু মানুষের তেজ বেরিয়ে যায়।
10. ”নইলে ছন্দ মেলেনা”- ছন্দ মেলাতে কোন দুটি পঙক্তি উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তর:- “কর্তার ভূত”- গল্পে ছন্দ মেলাতে যে দুটি পঙ্ক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হল -‘খোকা ঘুমোলো/ পাড়া জুড়োলো।”
11. ”ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাক শান্তি থাকে”- কেন?
উত্তর:- ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাকলেও শান্তি থাকে। কেননা সেখানে কেউ প্রতিবাদ করার লোক নাই ।
12. ”দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল”- নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ কী?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হয়ে ছিল, কেননা বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবেন।
13. কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয় কেন?
উত্তর:- কর্তার মৃত্যুর পরেও দেশের মধ্যে থেকে যাবেন ,দেশের মানুষের কথা ভাববেন ।তাই কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয়।
14. “হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি”— এ কথা কেন বলেছেন ?
উত্তর:- ভূতগ্রস্ত অলস মানুষ যাতে সচেতন প্রাজ্ঞ মানুষের কাছে না আসে তাই একথা বলা হয়েছে।
15. “শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হা হা করে তার উত্তর আসে।”প্রশ্নের উত্তর কী আসে ?
উত্তর:- ‘কর্তার ভূত’ নামাঙ্কিত গদ্যাংশ থেকে উক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে। এখানে প্রশ্নের যে উত্তর আসে তা হলো আৱু দিয়ে,ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা মিটিয়ে দিতে হবে।
16. “কী সর্বনাশ।”— সর্বনাশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর:- ভূতগ্রস্ত দেশে অনন্তকাল ধরে ভূতের শাসন ব্যবস্থাটাই বহাল থাকবে কি না- এই প্রশ্নটিকেই সর্বনাশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
17. “নইলে ছন্দ মেলে না”- মেলাতে কোন দু’টি পক্তির উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তর:- ছন্দ মেলানোর জন্য “খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়ালো” পদের সঙ্গে “বর্গি এল দেশে” পঙক্তি দু’টির উল্লেখ করা হয়েছে।
18. মরণকালে বুড়ো কর্তার দুঃখ হলো কেন ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘কর্তার ভূত’ গল্পে বুড়ো কর্তার মরার সময় হয়েছে। দেশের সবাই বুড়োকে জানাল যে,বুড়ো মারা গেলে তাদের কী দশা হবে। এ কথা শুনেই বুড়ো কর্তার বড়ো দুঃখ হলো।
19. “ সেই তেজ বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে যায় । ” এখানে কোন তেজের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ‘ কর্তার ভূত ‘ গল্পে আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটিতে মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি বা সীমাহীন শক্তির কথা বলেছেন ।
20. কারা ভূতের কানমলা খায় ?
উত্তর:- যারা স্বভাবদোষে ভূতকে নিয়ে ভাবতে যায় , তারা ভূতের কানমলা খায় ।
21. “ অম্ল হোক , বস্ত্ৰ হোক , স্বাস্থ্য হোক শান্তি থাকে । ” কোথায় , কেন এমনটি হয় ?
উত্তর:- প্রতিনিয়ত ঘানি ঘোরানোর ফলে মানুষের তেজ নিঃশেষ হয়ে আসে , ফলে মানুষ হয়ে যায় ঠান্ডা । যার কারণে ভূতের রাজত্বে আর যা – ই হোক না কেন অন্ন , বস্ত্র , স্বাস্থ্য এবং শান্তি থাকে ।
22. “ প্রবুদ্দমিব সুপ্তঃ ” কথাটির অন্তর্নিহিত অর্থ কী ?
উত্তর:- আলোচ্য কথাটির অন্তর্নিহিত অর্থ সকল জ্ঞানী ব্যক্তিই সুপ্ত অর্থাৎ ঘুমিয়ে থাকে ।
23. ” একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা । ” অদৃষ্টের চালে চলা কী ?
উত্তর:- চোখ বুজে বা অন্ধভাবে চলাকে লেখক ‘ কর্তার ভূত ‘ কাহিনিতে অদৃষ্টের চালে চলা বলেছেন ।
24. মাথা না থাকার ফলে ভূতেরা কী সুবিধা পায় ?
উত্তর:- মাথা না থাকার ফলে ভূতেদের কারো জন্যে কোনো রকম মাথাব্যথা অর্থাৎ কর্তব্য করার দায়দায়িত্ব , কতর্ব্য – ভাবনাচিন্তা থাকে না— গল্পকার এই মন্তব্য করেছেন ।
25. “ এ প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না ” প্রশ্নটি কী ?
উত্তর:- যে প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না বলে গল্পকার মন্তব্য করেছেন সেই প্রশ্নটি হলো যুক্তি – বুদ্ধি দিয়ে জানতে চাওয়া— কীসে খাজনা দেব ?
26. “ কেবল অতি সামান্য কারণে একটু মুশকিল বাঁধল । ” মুশকিলটি কী ?
উত্তর:- উদ্ধৃতিটিতে যেমুশ কিলের কথা বলা হয়েছে তা হলো — পৃথিবীর অন্য দেশগুলোকে ভূতে পায়নি । “ শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হা হা করে তার উত্তর আসে । ”
27. প্রশ্নের উত্তর কী আসে ?
উত্তর:- ‘ কর্তার ভূত ‘ নামাঙ্কিত গদ্যাংশ থেকে উক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে । এখানে প্রশ্নের উত্তর যে উত্তর আসে তা হলো আৰু দিয়ে , ইজ্জত দিয়ে , ইমান দিয়ে , বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা মিটিয়ে দিতে হবে ।
28. “ মোদ্দা কথাটা হচ্ছে ” মোদ্দা কথাটা কী ?
উত্তর:- “ মোদ্দা কথাটা হচ্ছে ” – বুড়ো কর্তা বেঁচেও নেই , মরেও নেই , ভূত হয়ে আছে । “
29. কী সর্বনাশ ! ” সর্বনাশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর:- ভূতগ্রস্ত দেশে অনন্তকাল ধরে ভূতের শাসন ব্যবস্থাটাই বহাল থাকবে কি না— এই প্রশ্নটিকেই সর্বনাশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
30. ‘ কর্তার ভূত ‘ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘ কর্তার ভূত ‘ গল্পে যিনি ক্ষমতার শীর্ষে বা সর্বেসর্বা তার প্রতি অন্ধ আনুগত্যকে ‘ কর্তার ভূত ‘ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে । তাই দেশের মানুষের বিশ্বাস কর্তার মৃত্যুর পরেও তিনি ভূত হয়ে থাকবেন ।
31. দেশের মানুষ নিশ্চিত হয়েছিল কেন ?
উত্তর:- ভূতকে মানলে কোনো ভাবনা থাকবে না বলে দেশের মানুষ নিশ্চিত হয়েছিল ।
32. “ নইলে ছন্দ মেলে না ” ছন্দ মেলাতে কোন দু’টি পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তর:- ছন্দ মেলানোর জন্য “ খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়ালো ” পদের সঙ্গে “ বর্গি এল দেশে ” পত্তিটির উল্লেখ করা হয়েছে ।